ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল:
প্রথমেই যেটির কথা বলব সেটি হচ্ছে ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল। নান্দনিক এ ভবনটি এবং তৎসংলগ্ন অসাধারণ পার্কটি পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। মুঘল ও ব্রিটিশ নির্মাণ কৌশলের মিশেলে তৈরি এ স্থাপনাটি তৈরি করেন লর্ড কার্জন ১৯২১ সালে। মূলত বিখ্যাত ব্রিটিশ রানী ভিক্টরিয়ার মৃত্যুর পর তার স্মরণে এটি নির্মাণ করা হয়। শ্বেত পাথরে নির্মিত মূল ভবনটির ঠিক সামনেই রয়েছে সিংহাসনাধীন মহারানী ভিকটোরিয়া এক বিশালাকার মূর্তি।

এছাড়া রয়েছে নাতিদীর্ঘ লেক বিশিষ্ট পার্ক। নান্দনিক ব্রিজ আর বসার জায়গা। মূল ভবনটি বর্তমানে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে যেখানে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন এন্টিক শিল্পকর্ম ও হস্ত নির্মিত নানা শিল্পকর্ম।

কলেজ স্ট্রিট
যদি বইপড়ুয়া হয়ে থাকেন তবে এটাই আপনার তীর্থস্থান। পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে বেস্টসেলার সবই মিলবে এখানে। ঝকঝকে নতুন বই থেকে শুরু করে পুরনো বই সবই মেলে। অনেক বইয়ের বিরল সংস্করণও পাওয়া যায় এখানে।
হাওড়া ব্রিজ:
কলকাতা আসবেন আর হাওড়া ব্রিজ দেখবেন না তা কি হয়। হুগলি নদীর উপর নির্মিত সম্পূর্ণ ইস্পাতের তৈরি এ ব্রিজটি নির্মাণ করেন ব্রিটিশরা। এটি কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নির্মিত হয়েছে। ব্রিজটি মূলত ক্যান্টিলিভার টাইপ সেতু যেটি শুধুমাত্র দুইটি মূল পিলারের উপরে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ। যেটি বঙ্গপোসাগরীয় প্রবল ঝড়গুলি মোকাবিলা করতে সক্ষম।

হুগলি নদীর উপর নতুন আরো একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও এখনো পর্যটকদের মূল আকর্ষণ এ হাওড়া ব্রিজ। তাইতো প্রতিদিন হাজারো পর্যটক এখানে ভিড় জমায়। সেতুটির পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যেতে হবে হাওড়াগামী লঞ্চ ঘাটে। এখান থেকে সেতুটি পুরোপুরি দেখা যায়। তবে আপনি ব্রিজের উপরও যেতে পারবেন।

সাইন্স সিটি:
কলকাতা শহরে নতুন চালু হওয়া এ সাইন্স সিটিটি মূলত একটি বিজ্ঞানকেন্দ্রিক নানা বিনোদনের স্থান। এখানে রয়েছে বিজ্ঞানের নানা বিষয় ব্যাখ্যাকারি উপকরণ যা থেকে সহজেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারেন। রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বর্তমান যুগের নানা জীবজন্তুর প্রমান সাইজ মূর্তি যা জীবন্ত প্রাণীর মতোই নড়াচড়া করে এবং শব্দ করে।
রয়েছে বিভিন্ন যুগের মানুষের রূপান্তর প্রক্রিয়া। রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্মিত ভিডিও। এছাড়া একটি থিয়েটার রয়েছে যেখানে উপভোগ করতে পারবেন প্রাগৈতিহাসিক মানুষের নানা জীবন যাপনের বাস্তব দৃশ্য। রিয়েছে ঝুলন্ত কার্ট যার মাধ্যমে এক পার্কটির এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত যেতে পারেবন।

ইন্ডিয়্যান মিউজিয়্যাম:
মিশরীয় মমি, ডাইনোসর বা জীবাশ্ম কঙ্কাল-এর সঙ্গে কাছ থেকে সাক্ষাৎ-দর্শন করতে চান? তবে কলকাতার ঐন্দ্রজালিক ইন্ডিয়্যান মিউজিয়্যাম হল সঠিক জায়গা! এশিয়্যাটিক সোসাইটি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, দ্য ইন্ডিয়্যান মিউজিয়্যাম হল দুনিয়ার সমগ্র এশিয়া-ভিত্তিক অঞ্চলগুলির মধ্যে এক প্রাচীন ও বৃহত্তম বহু-তাৎপর্যময় যাদুঘর বা মিউজিয়্যাম। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণতাময় প্রাকৃতিক ও মনুষ্য-সৃষ্ট অবয়ব প্রতিপালনে মাধ্যমে যাদুঘরে রাখার ধারনার উপর প্রবর্তিত হয়ে এই মিউজিয়্যামটির গঠন করা হয়েছিল। এই যাদুঘরের সংগ্রহগুলি খুবই লক্ষণীয়। এটিকে “যাদুঘর” অথবা স্থানীয় মানুষদের দ্বারা জাদুর ঘর হিসাবে গণ্য হয়।
রবীন্দ্র সরোবর লেক বা পূর্ব পরিচিত ঢাকুরিয়া লেক:
রবীন্দ্র সরোবর লেক বা পূর্ব পরিচিত ঢাকুরিয়া লেক হল কলকাতার এক শ্বাসযন্ত্র। এটি দক্ষিণ-কলকাতার এমন একটি স্থান যেখানে আপনি মানসিক বিপর্যয় থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন এবং নিজস্বতাই মগ্ন থাকতে পারেন। আমার মনে আছে, যখন আমি ছোট ছিলাম আমার ঠাকুরদা-র সঙ্গে সেখানে আমি গিয়েছিলাম। আমার ভাই, তুতো ভাই আর আমি এই সমগ্র বিস্তারণে সমারোহপূর্ণভাবে ছুটে বেড়াচ্ছিলাম, অন্যদিকে ঠাকুরদা তার স্বাভাবিক গতিতে অনবরত হাঁটা-চলা করছিলেন। আমার মনে আছে সেইসময় সেখানে আমার কাছে বাদাম আর মুড়ি ছিল। তারপর এক বিশাল সময়ের ফাঁক, ২৫ বছরের এক ফাঁক। ঢাকুরিয়া লেকের সঙ্গে আমার সম্বন্ধ এইসময় কোনওভাবে স্থগিত হয়ে পড়েছিল। আমি বাসস্থান স্থানান্তরিত করে নিয়েছিলাম আর সেখানে এমন কেউ ছিল না যে তাদের সাথে ঢাকুরিয়া লেক যওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেখানকার বেশ কিছু অবদান রয়ে গেছে।
বেলুড় মঠ
বেলুড় মঠ পশ্চিমবঙ্গের হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়। বেলুড় মঠ তার শান্ত-স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্যের জন্য সু-পরিচিত। বেলুড় মঠ হল রামকৃষ্ণ মিশনের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রেমময় স্মৃতি-রক্ষার্থে এটির নির্মাণ করেছিলেন। ইনি সর্ব ধর্মের ঐক্যের হয়ে প্রচার করেছিলেন।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির
ভারতের বৃহত্তম মহানগরী, কলকাতা তার ধর্মীয় স্থানের জন্য প্রসিদ্ধ। কলকাতা শহরের ২০-কিলোমিটার উত্তরে দেবী কালীর উৎসর্গে এই দক্ষিণেশ্বর মন্দির রাণী রাসমণি ১৮৪৭ সালে নির্মাণ করেছিলেন।
পরেশনাথ জৈন মন্দির
পরেশনাথ জৈন মন্দির কলকাতার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থান করে আছে। মন্দিরটি কাঁচের তৈরি আয়না, রঙীন পাথর ও মোজাইক শিল্প দিয়ে সু-সজ্জিত করা রয়েছে। এর চারপাশে একটি সুন্দর বাগান রয়েছে। এটি কাঁচের মোজাইক ও ইউরোপীয় মূর্তির সমন্বয়ে ঘেরাও রয়েছে এবং রুপোলি রং-এ রঙ করা আছে।
নাখোদা মসজিদ
নাখোদা মসজিদ, কলকাতার চিৎপুর রোড ও মহাত্মা গান্ধি রোডের সংযোগস্থলের নিকটে, জ্যাকিউয়্যারিয়া স্ট্রীটে অবস্থিত। কলকাতার নাখোদা মসজিদ, শুরুতে একটি ছোট্ট মসজিদ ছিল। ১৯২৬ সালের শেষের দিকে, কচ্ছের বাসিন্দা অবদর রহিম ওসমান্ এই বর্তমান কাঠামোটির নির্মাণ করেছিলেন। কলকাতার নাখোদা মসজিদ, কলকাতায় সর্ববৃহৎ এই প্রকারের মসজিদ্। এটি নিম্নলিখিত সিকন্দ্রার আকবরের সমাধি শৈলীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল-এটি ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যের একটি অংশ।
সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল
কলকাতায় সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল হল কলকাতা শহরের সবচেয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। এই গির্জাটি সম্পূর্ণ হতে এক দীর্ঘ সময় নিয়েছিল। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নির্মাণ কার্য চলার পর অবশেষে ১৮৪৭ সালে এই ইমারতটি সম্পূর্ণ হয়। কলকাতার সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল ইমারতটির স্থাপত্য চমৎকারভাবে মেজর নৈইর্ন ফোর্বস-এর দ্বারা সুপরিকল্পিত হয়েছিল।
কলকাতা রেস কোর্স
কলকাতা রেস কোর্স ভারতের এক সবচেয়ে বড় রেস কোর্স। কলকাতা রেস কোর্স ১৮২০ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর সু-পরিচর্যার দ্বায়িত্বে ছিল কলকাতার রয়্যাল টার্ফ ক্লাব। কলকাতা রেস কোর্স হল ভারতের এক বিখ্যাত ঘোড়াদৌড়ের ক্ষেত্র। এখানে দেশের সবচেয়ে মর্য্যাদাপূর্ণ ঘোড়াদৌড়ের কার্যক্রম; যেমন ক্যালকাটা ডার্বি এবং রাণী এলিজাবেথ কাপ নিয়মিত রূপে আয়োজিত হয়। কলকাতার রেস কোর্স সবুজাভ কলকাতা ময়দানের দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্দ্রে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতা রেস কোর্সের পশ্চিম কোণে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল অবস্থিত।
ন্যাশনাল লাইব্রেরী
ন্যাশনাল লাইব্রেরী, কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানার খুবই সান্নিধ্যে বেলভেডেয়্যার এস্টেট-এ অবস্থিত। কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরী হল ভারতের মধ্যে সর্ববৃহত্তম গ্রন্থাগার। দ্য ন্যাশনাল লাইব্রেরী পশ্চিমবঙ্গের লেফটেনেন্ট গর্ভনর-এর বাসভবন ছিল। বর্তমানে এই গন্থাগারে প্রায় ২০ লক্ষ পুস্তক ও ৫ লক্ষ নথি-পত্র রয়েছে।
কলকাতা শহীদ মিনার
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার শহীদ মিনার, ১৯৪৮ সালে স্যার ডেভিড ওক্টারলোনি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, ১৮১৪ এবং ১৮১৬ মধ্যবর্তী সময়কালের নেপাল যুদ্ধে তাঁর স্তম্ভিতকারী জয়লাভকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এটির নির্মাণ করা হয়েছিল। কলকাতার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রায় ৪৮ মিটারের দীর্ঘ এই আকাশ-চুম্বী স্মৃতিস্তম্ভটি ময়দান অঞ্চলে রাতের আকাশকে আলোকিত করে দাঁড়িয়ে থাকে, এটির সমস্ত কোণ থেকে উজ্জ্বল আলোর আলোক ঝরণায় এটি অগভীরভাবে উদ্ভাসিত রয়েছে।
কলকাতা মার্বেল প্যালেস
কলকাতার মার্বেল প্যালেস এক নিদারুণ সৌন্দর্য্যময় উদ্ভাবনী প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা। বাংলার এক সমৃ্দ্ধশালী জমিদার রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক বাহাদূর ১৮৩৫ সালে এটির নির্মাণ করেছিলেন। এর নিছক বিশালতা ও স্ফুলিঙ্গ জড়ানো কারুকার্য নিশ্চয়ই আপনার বোধ শক্তিকে বিমোহিত করে তুলবে।
কলকাতা এম.পি. বিড়লা তারামন্ডল
পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতার দ্য এম.পি. বিড়লা প্ল্যানিটেরয়্যাম ১৯৬২ সালের, ২৯-শে সে্টেম্বর অস্তিত্বে আসে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৬৩ সালের ২-রা জুলাই, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু একি উদ্বোধনী অভিভাষণের মাধ্যমে এটি সর্বাসাধারণের জন্য খোলা হয়। এটি সমগ্র ভারতে প্রথম এই ধরনের এবং সমগ্র এশিয়ায় এক অদ্ভূত বিষয়বস্তু ছিল। এটি প্রারম্ভের গোড়া থেকেই, সাধারণ মানুষের কাছে ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার ঘটনার ধারনা উপলব্ধিকরণের জন্য এটি এক সম্পদ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ইডেন গার্ডেনস:
কলকাতার ইডেন গার্ডেনের নাম শোনেননি এমন লোক খুবই কম আছে। ব্রিটিশদের নির্মিত ভারতের বৃহত্তম এ স্টেডিয়ামটি কলকাতার গর্ব। বিশালাকার এ স্টেডিয়ামেটির রয়েছে বিশাল দর্শক ধারণক্ষমতা। এটি নির্মিত হয় ১৮৬৪ সালে এবং এই বর্তমান দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৬৬৩৪৯ জন।

বোটানিক্যাল গার্ডেন
কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন, কলকাতার পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি উদ্যম প্রচেষ্টা। কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন, হুগলী নদীর তীরে শিবপুরে অবস্থিত। ভারতের পুষ্প-শোভিত সম্পদের উন্নতীকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে ১৭৮৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
নিকো পার্ক
প্রায় ৪০ একর এলাকা জুড়ে আবৃত নিকো পার্ক হল পূর্বদিকের সর্ব বৃহত্তম ও জনপ্রিয় বিনোদনমূলক উদ্যান। এই উদ্যানটি সোস্যাল আ্যকাউন্টিবিলিটি-৮০০০ (সামাজিক দায়বদ্ধতা) প্রশংসাপত্রে প্রত্যয়িত সহ বিশ্বের প্রথম সর্বসেরা চিত্তবিনোদনমূলক উদ্যানের ন্যায় বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এশিয়ার মধ্যে প্রথম আই.এস.ও-১৪০০১ (এনভ্যারোনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এবং আই.এস.ও-৯০০১ (কোয়্যালিটিম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর প্রশংসাপত্র প্রত্যয়িত সহ ভারতের প্রথম চিত্তবিনোনমূলক উদ্যানের কৃতিত্ব অর্জন করে।
কোলকাতার মূল বাহন ট্যাক্সি। শহরের সব জায়গায়তেই রয়েছে প্রছর ট্যাক্সি এবং ট্যাক্সি করেই যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই মিটারে যাবেন। এছাড়া মেট্রো ও ট্রাম চলাচল করে কলকাতায়। চাইলে এতে করেও যেতে পারেন আপনার গন্তব্যে। এছাড়া রয়েছে হাতে টানা রিকশা। যা কলকাতার মূল আকর্ষণ। তবে কাছের কোন স্থানের জন্যই এটি উপযুক্ত।
আরো দেখুন ইন্ডিয়ার ভিসা কিভাবে নিবেন? কোথায় থাকবেন? কি খাবেন? ইত্যাদি জানার জন্য ক্লিক করুন এই লেখার উপড়ে।
-tourinfo